পশ্চিম মেদিনীপুর :
ঘাটালে জল না বাড়লেও বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়। বৃহস্পতিবার থেকে জল কমতে শুরু করেছে।মহকুমার সব নদীতে জলস্তর কমতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতি বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় অপরিবর্তিত।ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যের সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া ।তিনি ঘাটালের দন্দিপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে প্লাবিত এলাকার মানুষজনকে ত্রাণ বিতরণ করেন। ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ।আশীষ হুদাইত, ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস, বিডিও অভীক বিশ্বাস সহ বিভিন্ন আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। তিনি মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন।এদিকে বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান বিতরণ করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরি।ছিলেন ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনিমেষ সিংহ রায় . সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ত্রাণ নিয়ে মনসুকা পর্যন্ত গিয়ে বন্যার্তদের ত্রান বিতরণ করেন।বৃহস্পতিবার থেকে জল কমতে শুরু করায় ঘাটাল মেদিনীপুর বাস সড়কে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। ঘাটাল ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ড জলমগ্ন।মহকুমার বিভিন্ন প্লাবিত এলাকায় অনেকে ছাদের ওপরে ত্রিপল টাঙিয়ে বাসিন্দারা রয়েছেন। পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে।যদিও প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের পাউচ পাঠানো হচ্ছে। ঘাটাল থানা, বিডিও অফিস পৌরসভা চত্বর জলের তলায়। শ্মশান ডুবে গিয়েছে। ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় একতলা বাড়ি জলের তলায়। কেউ আছেন ছাদের উপর কেউ বা টিনের ছাউনির ওপরে। জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, এসডিও গ্রামে গিয়ে ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন প্লাবিত এলাকার মানুষের হাতে। ঘাটাল মহকুমায় প্রায় ৪০ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।ঘাটাল পুরসভা বিবেকানন্দ মোড়ে খিচুড়ি বিতরণ করে। সরকারী ছাড়াও ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট বন্যার্ত এলাকায় রান্না করা খাবার তুলে দেন। ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি ব্লক মিলিয়ে ৩৯৬ টি মৌজার চাষের ক্ষতি হয়েছে ।