একই পরিবারের চার জনের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গজলডোবার ভোরের আলো প্রকল্পের কাছে টাকিমারি এলাকায়। একই সঙ্গে একটি গোরুরও মৃ. ত্যু হয়েছে। জানা গেছে, বাড়িতে হুকিং করে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যেই তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল সেই তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় একটি গোরু। গোরুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে যান বাড়ির মালিক। তখন ঘটনাস্থলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে একে একে তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও ছোট নাতির মৃ. ত্যু হয়।।মৃ. তদের মধ্যে রয়েছেন বাড়ির মালিক পরেশ দাস (৭০) তার স্ত্রী দিপালী দাস (৬০) ছেলে মিঠুন দাস (৩৫) এবং মেয়ের ঘরের নাতি নাতি সুব্রত অধিকারী (২)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা নাগাদ মাঠ থেকে গোরু বাড়িতে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন পরেশ দাসের ছেলে মিঠুন দাস। এই সময় তাঁর বাবা পরেশ দাস বাড়ির পাশে থাকা ইলেকট্রিক তারের সঙ্গে হুকিং করছিলেন। হঠাৎ তারটি ছিঁড়ে পড়ে গোরুটির উপর। গোরুটিকে বাঁচাতে গিয়ে প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন পরেশ দাস। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্ত্রী দিপালী দাস। তিনিও একই ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরপরেই পরেশবাবুর ছেলে মিঠুন দাস বাবা-মাকে বাঁচাতে ছুটে আসে। তখন তাঁর কোলে ছিল বোনের ছেলে সুব্রত অধিকারী। বিদ্যুতের ছোবলে তাঁদের দু’জনেরই মৃ. ত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কালাচাঁদ দাস বলেন, ‘সন্ধ্যায় এমন ঘটনা শুনতে পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি।’ টাকিমারী এলাকার বাসিন্দা বিজেপি নেতা দুলাল অধিকারী বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই এলাকায়। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল তার মাঝেই দেখতে পাই পরিবারের চারজন সদস্য অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত আমরা সকলেই।’ ভোরের আলো থানার ওসি সন্দীপ দত্ত জানান, চারজনকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।