জাগো হিন্দু জাগো এই স্লোগান নিয়ে একদিকে যেমন হিন্দুদেরকে উসকে দিয়ে সম্প্রীতির বাতাবরণকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

সেখানেই দাঁড়িয়ে মুসলিমদের ইফতার পার্টিতে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ধর্মীয় গুরু থেকে শুরু করে সাধারণ হিন্দু পরিবারের মানুষেরা, সম্প্রীতির বাতাবরণকে রক্ষার্থে জলপাইগুড়ি জেলা সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়, ইফতার পার্টিতে, হিন্দু জৈন, বুদ্ধিস্ট, সকলেই উপস্থিত ছিলেন।

মূলত এটি সম্প্রীতির বাতাবরণ রক্ষার্থে এই ইফতার পার্টি বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান।। তিনি বলেন এই বাংলা সম্প্রীতির বাংলা এ বাংলায় হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, জৈন, সকলেই আমরা ভাই ভাই।

তাই কোন সাম্প্রদায়িক দল আমাদের এই ভাইচারাকে নষ্ট করতে পারবেন না। বিজেপি নিজে তোষণের রাজনীতি করছেন। দেখা গেছে বিজেপি নামক দলটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপমুখ্যমন্ত্রী সকলেই ইফতার পার্টিতে টুপি পড়ে হাজির।

তাহলে পরে একদিকে যেমন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা বলছেন সংখ্যালঘুদের ভোট চাই না অন্যদিকে গোটা দেশে ভিন্ন ছবি। তবে কি ২০২৬ এর আগে নিজের দলের চাপের মুখেই পড়তে বসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে।

অন্যদিকে বিজেপিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ইফতার পার্টি নিয়ে ও হিন্দুত্বের দোহাই কে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার কিষান ক্ষেতমজুরের জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ। তিনি বলেন বিজেপির মুখ ও মুখোশ দুটই আলাদা।

এর পাশাপাশি বুদ্ধ ধর্মীয় গুরু তিনি বলেন আমরা আজ এখানে এসেছি সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দিতে আমরা ভারতবাসী, এখানে হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান জৈন বুদ্ধ সকলেই এক। আমরা এখানে ভাই চারা বজায় রেখে এবং নিজের রাজ্যে শান্তি রক্ষার্থে আমরা সকলে এক।

তাই পশ্চিমবঙ্গে আমাদের বিভাজনের চেষ্টা করুন কোনোভাবেই সফল হবে না কোন সাম্প্রদায়িক দল। এদিনের ইফতার পার্টিতে হিন্দু “(ব্রাহ্মণ) অধিকারী” একসাথে বসে ইফতার করলেন। এই প্রসঙ্গে বিপ্লব অধিকারী বলেন এটাই সম্প্রীতি এটাই বাংলার সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি।

এদিনের এই ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলার সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি, ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বুলিচিক বাড়ায়, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কৃষ্ণা রায় বর্মন, সহ-সভাপতি সীমা চৌধুরী, সহ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের ব্লক সভাপতি ও সংখ্যালঘ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় গুরুরা।