একটা সময় ছিল, যখন ভালোবাসার মানে ছিল একসঙ্গে থাকা, একসঙ্গে স্বপ্ন দেখা। কিন্তু সময় বদলেছে, বদলেছে সম্পর্কের সমীকরণ। বেঙ্গালুরুর শ্রীকান্ত যখন বিয়ে করেছিলেন, তখন ভাবেননি যে একদিন ভালোবাসার জায়গাটা স্বার্থের মোহে ঢেকে যাবে।

প্রথমে সবকিছু ঠিকই ছিল। স্বপ্ন দেখেছিলেন সুখী দাম্পত্যের, কিন্তু ধীরে ধীরে সেই স্বপ্ন ভেঙে যেতে লাগল। প্রতিদিনের অকারণ ঝগড়া, মানসিক চাপ, কাজের জায়গায় সমস্যা তৈরি করা— এসব যেন একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল তাঁর স্ত্রীর।

কিন্তু সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা তখনই এলো, যখন তিনি শুনলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর কাছে থাকার জন্য টাকা চান। প্রতিদিন একসঙ্গে থাকতে হলে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা! আর যদি সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে যেতে চান, তাহলে গুনতে হবে ৪৫ লাখ!

শ্রীকান্তের চোখের সামনে ভেঙে গেল সেই সম্পর্ক, যেখানে তিনি ভেবেছিলেন শুধু ভালোবাসা থাকবে। তাঁর স্ত্রী জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনোভাবেই নিজের শরীর নষ্ট করবেন না, তাই তিনি মা হবেন না। সন্তান চাইলে দত্তক নিতে হবে। শ্রীকান্ত হয়তো স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজের রক্তের সন্তানকে কোলে নেওয়ার, কিন্তু তাঁর স্ত্রীর কাছে সেই স্বপ্নের কোনো মূল্য ছিল না।

এরপরের দিনগুলো হয়ে উঠল আরও কঠিন। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের মাঝে তাঁর স্ত্রী নাচতে শুরু করতেন, গান বাজিয়ে কাজের পরিবেশ নষ্ট করতেন। তিনি যেন ইচ্ছে করেই চাইতেন শ্রীকান্তের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাক।

শেষমেশ আর সহ্য করতে পারলেন না শ্রীকান্ত। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেন। কিন্তু সেখানে টাকা চাওয়ার প্রসঙ্গটা উল্লেখ করেননি, হয়তো আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বা হয়তো নিজের সম্পর্কের সম্মান বাঁচানোর শেষ চেষ্টা ছিল ওটা।

এই ঘটনা নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর, সবাই একটাই প্রশ্ন করছে— ভালোবাসা কি সত্যিই টাকার বিনিময়ে মাপা যায়? সম্পর্ক কি এখন কেবলই একটা চুক্তি হয়ে গেছে?

কিন্তু একটা সম্পর্ক কি সত্যিই একদিনে ভেঙে পড়ে?